শুক্রবার ০২ মে ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Rajat Bose | ১০ আগস্ট ২০২৪ ১৪ : ২৮Rajat Bose
অতীশ সেন, ডুয়ার্স: মাটিতে নয়, বরং গাছের উপর গাছ বোনা শুরু হল জলদাপাড়ায়। মাটিতে গাছ বুনলে বন্য ও গবাদি পশুর কারণে গাছের চারা বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ বর্ষাকালে জঙ্গলে গাছ রোপণের জন্য অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। গাছ বোনার বিকল্প এই পদ্ধতিটিকে ‘ট্রি টপ প্লান্টেশন’ বলা হয়ে থাকে।
ডুমুর জাতীয় উদ্ভিদ বা ‘ফিকাস গণ’ এর উদ্ভিদ জঙ্গলে অসংখ্য জীবের জন্য ফল ও আশ্রয় প্রদান করে। ফলে এদের বনাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হাতিরও প্রিয় খাবার এই সব গাছের পাতা। সাধারণত গাছ মাটিতে রোপণ করা হয়ে থাকে। সমস্ত তৃণভোজী প্রাণী, বিশেষ করে হাতিরা এই সব গাছের পাতা এবং শাখা খেতে খুবই পছন্দ করায় প্রচলিত পদ্ধতিতে এই গাছগুলি রোপণ করলে এদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি হয়ে থাকে। ‘ট্রি টপ প্লান্টেশনে’ বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ফিকাস প্রজাতির উদ্ভিদ যেমন–ফিকাস বেঙ্গালেনসিস (বট), ফিকাস রেলিজিওসা (অশ্বত্থ), ফিকাস রেসেমোসা (ডুমুর), ফিকাস রুমফি (পাঁকুড়) ইত্যাদি আশ্রয়দায়ী গাছের উপর রোপণ করা শুরু হল।
বন দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, বট, অশ্বত্থের মতো বড় বড় গাছ জঙ্গলে দীর্ঘদিন টিকে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে বাড়তে পারে। এদের বেঁচে থাকার প্রধান কারণ হল যে, এরা মাটিতে নয়, বরং অন্য গাছের ওপর ডাল পালার শীর্ষে অঙ্কুরিত হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছগুলি বেড়ে উঠেছে এবং শেষ পর্যন্ত সেই গাছকে ছাড়িয়ে ধরে এদের শেকড় মাটিতে নেমে আসে। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে চিরহরিৎ এই গাছগুলির বংশবিস্তারের জন্য একই পদ্ধতিতে কৃত্তিমভাবে চেষ্টা করা হল। এই ধরনের গাছ নিজেই একটি বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে পারে। তাদের বিস্তৃত শিকড় জটিল কাঠামো তৈরি করতে পারে, যা বিভিন্ন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং কীটপতঙ্গের জন্য আবাসস্থল প্রদান করে। এছাড়াও, তাদের ফল অনেক পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর খাদ্য হিসেবে কাজ করে। যা এলাকার সামগ্রিক জীববৈচিত্র্যে অবদান রাখে।
বনকর্তারা জানান, বর্তমানে ২০০টি গাছের চারা জলদাপাড়া উত্তর, জলদাপাড়া পূর্ব, জলদাপাড়া পশ্চিম, চিলাপাতা এবং কোদালবস্তি এই পাঁচটি রেঞ্জে রোপণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি স্থানের জিপিএস রিডিংও নেওয়া হয়েছে। বনকর্মীরা রোপণ করা চারাগুলির বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং রেকর্ড রাখছেন। চারাগুলি দুই বছর ধরে নার্সারিতে বড় করা হয়েছিল। ফলে এদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়েছে। ভবিষ্যতে রোপণের জন্য আরও চারা নার্সারিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
নানান খবর

নানান খবর

মুক্তির নিশ্চয়তা না পেলেও আপাতত আশ্বস্ত, রিষড়া ফিরলেন বিএসএফ জওয়ানের পরিবার

ঝড়ের রাতে বারাসতে উত্তমকুমারের বাড়িতে বিপর্যয়, ভেঙে পড়ল মহানায়কের স্মৃতিবিজড়িত গাছ

যুবসমাজে ফুসফুসে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি! নেপথ্যে কি শুধুই ধূমপান না পরিবেশ দূষণও

মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ প্রায় ২৫ জন কিশোর

মাধ্যমিকে তৃতীয়, মেয়েদের মধ্যে রাজ্যের সেরা ঈশানি চক্রবর্তী

মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফরে বড়সড় বদল, নতুন সফরসূচি জানিয়ে দিল প্রশাসন

বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত কৃষক উকিল বর্মন, বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলেন রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি

শুধু সি-ফেসিং নয়, হোটেল হতে হবে মন্দির-ফেসিং, দিঘায় তুঙ্গে চাহিদা

বিজেপি বনাম বিজেপি, পশ্চিম মেদিনীপুরের রাস্তায় দুই গোষ্ঠীর মারপিট

আইএসসি পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় ও পঞ্চম স্থানে কোচবিহারের আত্রেয়ী-অনুষ্কা

আইসিএসই পরীক্ষায় ৯৯.০৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিল হুগলির পড়ুয়া

অনুষ্ঠানে গিয়ে আচমকা অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি সাংসদ সৌগত রায়

সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই শুরু হল তুমুল বাগবিতণ্ডা, সাংসদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বিদায়ী সভাপতির

'ভগবানের কাছে এসেছি, যাঁরা বুঝতে পারছেন না ভগবান তাঁদের সুমতি দিন', দিঘায় জগন্নাথধাম দর্শনের পর জানালেন দিলীপ

স্ত্রীকে খুনের পর দুই শিশু সন্তানের গলায় ভোজালি ধরে ঘরবন্দি, ঘটনা হার মানাবে ক্রাইম থ্রিলারকেও